শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন
হাফেজ মাহমুদুল হক হাসান:
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে পুরো রমজান মাস মুমিন বান্দারা রোজা পালনে মশগুল থাকেন। আর রোজার সঙ্গে ইফতারের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। সূর্যাস্তের পর পানাহারের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করাকে ইফতার বলে। রোজাদারদের জন্য ইফতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত ইবাদত। ইফতারের বিধান রোজাদারের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ামত স্বরূপ। ইসলামে অন্যকে ইফতার করানোর গুরুত্বও অত্যধিক। হাদিসে রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করানোর গুরুত্ব সম্পর্কে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, কেউ যদি রমজান মাসে কোনো রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করায় তাহলে আল্লাহতায়ালা তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন, দোজখ থেকে মুক্তি দান করেন এবং ইফতার প্রদানকারীকে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব দান করেন। অথচ রোজাদারের সওয়াব থেকে বিন্দু পরিমাণও কমানো হয় না।
সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে অনেকের এই সামর্থ্য নেই যে, অন্যকে তৃপ্তিসহ ইফতার করাবে। জবাবে হজরত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহতায়ালা তাকেও এই সওয়াব দান করবেন, যিনি কোনো রোজাদার ব্যাক্তিকে এক চুমুক দুধ, একটি খেজুর বা এক ঢোক পানি দিয়ে ইফতার করাবে। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তিসহ খাওয়াবে আল্লাহতায়ালা তাকে আমার হাউজে কাউসার থেকে এমন পানি পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে না পৌঁছা পর্যন্ত আর তৃষ্ণার্ত হবে না। -(মেশকাত ১৭৪)
ভয়েস/আআ